কীভাবে 2025 সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করবেন – ঘরে বসে এই 11টি উপায়ে লাখ টাকা উপার্জন করুন

ক্রিপ্টোকারেন্সি সে পায়সে কামায়ে – আপনিও কি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করে রাতারাতি কোটিপতি হতে চান, তাই আপনি ইন্টারনেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন তা অনুসন্ধান করে এই নিবন্ধে এসেছেন, আপনি কি বিস্ময়কর দিকে যেতে চান? ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়া, যা কিছু মানুষ রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছে, যদি হ্যাঁ! তাই আজকে আমরা আপনাকে এই ডিজিটাল সোনার খনির সাথে পরিচয় করিয়ে দিই, যেখান থেকে আপনি সঠিক কৌশলে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আজকের ডিজিটাল যুগে, ক্রিপ্টোকারেন্সিও অনলাইনে অর্থ উপার্জনের একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে, এমন অনেক লোক রয়েছে যারা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছে, তবে তারা সঠিক কৌশল এবং পরিকল্পনার সাথে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অর্থ বিনিয়োগ করে।

যদিও ক্রিপ্টোকারেন্সি এখনও ভারতে বৈধ নয়, তবুও ভারতের অনেক মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ব্যবসা করে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করছে। আজকের নিবন্ধে, আমরা আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি কী, ক্রিপ্টো সে পায়েস কামায়ে, কীভাবে ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সমস্ত তথ্য দেব।

🤑🤑🤑খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য – ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার খুব দ্রুত উপরে উঠে যায়, তাই এখানে অর্থ উপার্জনের ইচ্ছায় আপনি আপনার প্রচুর অর্থ হারাতে পারেন, শুধুমাত্র যখন আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সিতে খুব ভালো জ্ঞান থাকবে, আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। বিনিয়োগ করুন, অন্যথায় আপনি নিজের ঝুঁকি এবং লাভের জন্য দায়ী থাকবেন।

ক্রিপ্টো কারেন্সি এমন একটি ডিজিটাল কারেন্সি, যা বাস্তবে দেখাও যায় না এবং স্পর্শও করা যায় না, এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়, এর লেনদেন নিরাপদ করতে এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

ক্রিপ্টোকারেন্সি 2009 সালে সাতোশি নাকামোটো নামে একজন ব্যক্তি আবিষ্কার করেছিলেন, যিনি প্রথমে বিটকয়েন নামে একটি ক্রিপ্টো কারেন্সি তৈরি করেছিলেন, কিন্তু এখন হাজার হাজার ক্রিপ্টো কারেন্সি তৈরি হয়েছে, আজ বিটকয়েনের দাম $ 1,00,000 এর বেশি।

ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পূর্ণরূপে বিকেন্দ্রীকৃত, যার অর্থ হল কোন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্ক এর উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।

এর লেনদেন একজন ব্যবহারকারী অন্য ব্যবহারকারীর কাছে কোনো তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই করে থাকে, অর্থাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আপনাকে কোনো তৃতীয় পক্ষের ব্রোকারের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করতে হয় না, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন হয় p2p নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।

আমরা যদি সহজ ভাষায় বুঝতে পারি, তাহলে এটি আর্থিক লেনদেনের একটি ডিজিটাল মাধ্যম, যা কম্পিউটার অ্যালগরিদমে কাজ করে, এটি শুধুমাত্র ডিজিটাল আকারে অনলাইনে দৃশ্যমান, যা আপনি কখনই স্পর্শ করতে পারবেন না।

আমরা যেমন রুপিয়া, ডলার, রিয়াল, ইউরো ইত্যাদি যেকোন দেশের মুদ্রাকে স্পর্শ করতে পারি, একইভাবে আমরা কখনই ক্রিপ্টোকারেন্সি স্পর্শ করতে পারি না, ক্রিপ্টোকারেন্সি শুধুমাত্র ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

ক্রিপ্টো কারেন্সিতে, প্রতিটি লেনদেন একটি ব্লকে যোগ করা হয় এবং তারপর একটি চেইন লিঙ্কে করা হয়, এই প্রযুক্তিটি লেনদেনকে সুরক্ষিত করে তোলে, যার কারণে প্রতারণার কোন সুযোগ নেই।

ক্রিপ্টো কারেন্সি কিভাবে কাজ করে?

এখন প্রশ্ন আসে যে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে, তাহলে আসুন সহজ ভাষায় বুঝতে পারি, আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে, আপনি যখন অনলাইনে কিছু কিনবেন, আপনি কিভাবে লেনদেন করবেন এবং আপনার দেওয়া টাকা কোথায় যায়?

তাই আপনাদের অবগতির জন্য বলে রাখি যে এটি একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল লেনদেন, এভাবেই ক্রিপ্টো কারেন্সি কাজ করে, তবে পার্থক্য হল এতে কোন প্রকার ব্যাঙ্ক বা সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই।

অর্থাৎ, ব্লকচেইনে ক্রিপ্টোকারেন্সি চলে, এই ব্লকচেইন এক ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তির সাথে সংযুক্ত করে, যার মধ্যে P2P লেনদেন হয়, যার অর্থ হল একজন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির কাছে অর্থ স্থানান্তর করে।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে, আপনার প্রতিটি লেনদেনের রেকর্ড সুরক্ষিত। বর্তমান সময়ে, দেশে এবং বিদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ উপায় হল ক্রিপ্টোকারেন্সি। এতে, দূরের দেশে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে কোনো চার্জ দিতে হবে না এবং আপনার টাকা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দূর দেশে পৌঁছে যাবে।

ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে কীভাবে বিনিয়োগ করবেন?

আমি আশা করি, আপনি যদি এখন পর্যন্ত এই নিবন্ধটি সঠিকভাবে পড়ে থাকেন, তাহলে আপনি অবশ্যই ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন যে ক্রিপ্টোকারেন্সি কী এবং কীভাবে ক্রিপ্টো কারেন্সি কাজ করে, তাই আসুন এখন জেনে নিন, কীভাবে ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করা যায়।

যাইহোক, ক্রিপ্টোকারেন্সি এখনও ভারতে বৈধ বা নিষিদ্ধ হয়নি। ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে, আপনি অনেক ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম পান, যার মাধ্যমে আপনি ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।

আমরা নীচে আপনাকে কিছু সেরা ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে বলছি, যেগুলির উপর আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ভারতে ক্রিপ্টো কারেন্সি কিনতে এবং বিক্রি করতে পারেন৷

রানী সুইচ কুবের
স্থানীয় বিটকয়েন
জেবপে
ইউনিকর্ন
মুদ্রা DCX
বিনান্স

এই সমস্ত প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে, আপনি ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে একটি ভাল পরিমাণ উপার্জন করতে পারেন।

কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করা যায় – ক্রিপ্টোকারেন্সি সে পায়সে কামায়ে

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের দৃষ্টিকোণ থেকে ধীরে ধীরে ক্রিপ্টোকারেন্সি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে! বন্ধুরা, ক্রিপ্টো কারেন্সি মার্কেট খুবই অস্থির। এক নিমিষে উঠে যায় আর নিমেষে নেমে যায়।

আপনি এখানে যত দ্রুত অর্থ উপার্জন করবেন,

এছাড়াও, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করার আগে আপনার যথাযথ গবেষণা করা উচিত, কারণ এতে প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে, আপনার লাভ এবং ক্ষতির জন্য আপনি নিজেই দায়ী থাকবেন।

 

#1 – ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করে অর্থ উপার্জন করুন

 

বন্ধুরা, ক্রিপ্টো কারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল আপনি যখন কোনও ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনবেন, তখন বুঝবেন যে আপনি একটি ডিজিটাল সম্পদ কিনেছেন যার মূল্য ভবিষ্যতে বাড়বে এবং যা আপনাকে পরবর্তীতে লাভ করবে।

 

ধরুন, আপনি যদি আজকে Dogecoin ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে চান, যা আগামী সময়ে অনেক বেড়ে যাবে কারণ টেসলার মালিক ইলন মাস্ক এতে বিনিয়োগ করেছেন, তাহলে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি আপনার অনেক টাকা বাঁচাতে পারে।

 

আপনি Coinbase, Coin DCX এবং Binance-এর মতো ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।

 

বন্ধুরা, যেকোন ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টাকা ইনভেস্ট করার আগে আপনাকে তা নিয়ে সঠিক গবেষণা করে নিতে হবে, কারণ আপনি যদি এমন কোনও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেন যার বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, তাহলে আপনার টাকা নষ্ট হয়ে যাবে।

 

আপনি যদি একটি ভাল ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ₹ 500ও বিনিয়োগ করেন, তাহলে এটি ভবিষ্যতে আপনার ₹ 10000 হতে পারে।

 

#2 – ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ট্রেড করে অর্থ উপার্জন করুন

 

Crypto থেকে অর্থ উপার্জনের আরেকটি উপায় হল এতে ট্রেড করা এবং যার মাধ্যমে আজ প্রায় প্রতিটি ট্রেডিং প্রেমী ট্রেড করে অর্থ উপার্জন করে।

 

ক্রিপ্টো ট্রেডিং-এ, আপনাকে ট্রেডিং চার্ট পড়ে ক্রিপ্টো কিনতে হবে, এর পরে সেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আপনি 10-15% 20% লাভ পাবেন, আপনি সেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিক্রি করে আপনার লাভ ব্যবহার করবেন।

 

ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ট্রেড করার জন্য, আপনাকে ট্রেডিং চার্টগুলি ভালভাবে পড়তে হবে, কারণ এই চার্টগুলি আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করতে সহায়তা করে এবং আপনি যদি একটি ছোট ভুলও করেন তবে আপনি আপনার অর্থ হারাতে পারেন।

 

এমনকি আপনি যদি খুব কম টাকা দিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ট্রেড করেন, তবুও আপনি এটি থেকে ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারেন, কারণ এখানে বাজার এত দ্রুত উপরে যায় যে আপনি অল্প টাকা দিয়েও ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

 

#3 – ক্রিপ্টোকারেন্সি স্টেকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুন

 

আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জনের উপায় খুঁজছেন, যাতে আপনাকে খুব বেশি ঝুঁকি নিতে হয় না এবং আপনার অর্থ সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে, তাহলে বুঝুন আপনি ব্যাঙ্কে একটি এফডি করতে চান এবং আপনার অর্থ থাকবে। FD নিরাপদ থাকুন।

 

আপনি যদি ব্যাঙ্কের চেয়ে বহুগুণ বেশি সুদ পেতে চান, তবে এর জন্য আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি স্টেকিং করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন, কারণ আজ অনেক ক্রিপ্টো কারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যা ক্রিপ্টোকারেন্সি স্টেকিং-এ ব্যাঙ্কের থেকে বহুগুণ বেশি সুদ দেয়। .

 

এখানে আপনার টাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে এবং আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি স্টেকিং করতে চান তাহলে আপনি Binance, Coin Base বা Coin DCX এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।

 

#4 – ক্রিপ্টো মাইনিং করে অর্থ উপার্জন করুন

 

বর্তমান সময়ে, ক্রিপ্টো মাইনিং ক্রিপ্টো থেকে অর্থ উপার্জনের একটি দুর্দান্ত উপায়, যার মাধ্যমে লোকেরা সহজেই লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারে, যদিও ক্রিপ্টো মাইনিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে আপনার প্রচুর জ্ঞানের প্রয়োজন হবে, এর পাশাপাশি আপনি এটিও করবেন। আপনার ভালো জ্ঞানের প্রয়োজন হবে যার মাধ্যমে আপনি ক্রিপ্টো মাইনিং করতে পারবেন।

 

ক্রিপ্টো মাইনিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার জন্য আপনার একটি ভাল গ্রাফিক কার্ড, একটি খুব শক্তিশালী সিপিইউ এবং একটি ভাল প্রসেসর সহ একটি কম্পিউটার প্রয়োজন, এটি ছাড়াও আপনার ক্রিপ্টো মাইনিং সফ্টওয়্যারও লাগবে, যদি আপনার কাছে এই সমস্ত জিনিস থাকে তবে তারপরে আপনার প্রযুক্তি। একটি গ্রিপ হতে হবে.

 

ক্রিপ্টো মাইনিং করে অর্থ উপার্জন করতে আপনাকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হবে, তবে হ্যাঁ! আপনি এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন, ক্রিপ্টো মাইনিং থেকে অর্থ উপার্জন করতে আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের জন্য ব্লকচেইন যাচাই করতে হবে এবং যুক্ত করতে হবে এবং এর জন্য আপনার কম্পিউটার 24 ঘন্টা চালু থাকতে হবে, যা প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ করে।

 

#5 – ক্রিপ্টো ঋণ থেকে অর্থ উপার্জন করুন

 

ক্রিপ্টো লেনদেনও ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জনের একটি উপায়, এইভাবে অর্থ উপার্জন করতে আপনাকে আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি কাউকে ধার দিতে হবে।

 

এইভাবে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন তা নির্ভর করে আপনি কোন মুদ্রা কাউকে এবং কতদিনের জন্য ধার দিচ্ছেন তার উপর।

 

আপনি যখন একটি ভাল ক্রিপ্টোকারেন্সি ধার দেন, তখন আপনি বিনিময়ে ভাল সুদ পান। এতে, আপনার পরিমাণ এবং সুদ আপনাকে প্রদান করা হয়।

 

#6 – এয়ারড্রপের মাধ্যমে

 

আপনি Airdrop-এর মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকেও ভালো পরিমাণ আয় করতে পারেন, এতে, যখন কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানি তার কারেন্সি লঞ্চ করে, তখন তারা তার Airdrop নিয়ে আসে এবং এর পরে, যারা সেই Airdrop-এ অংশগ্রহণ করে তাদের কিছু মুদ্রা দেওয়া হয়।

 

আপনি যদি Airdrop-এর মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে আপনার এটি নিয়ে গবেষণা শুরু করা উচিত, বর্তমান সময়ে এমন অনেক ওয়েবসাইট এবং ফার্ম রয়েছে, যা আসন্ন এয়ারড্রপের তালিকা প্রস্তুত রাখে, আপনি Airdrop-এ যোগ দিয়ে তাদের সাথে যোগ দিতে পারেন।

 

যে কোনো এয়ারড্রপে জয়েন করার আগে, প্রথমে সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে গবেষণা করুন, শুধুমাত্র সেই এয়ারড্রপে যোগ দিন যেখানে আপনি ভালো কিছু দেখতে পান। সফলভাবে Airdrop এ যোগ দিতে, আপনাকে কিছু শর্তাবলী অনুসরণ করতে হবে।

 

আপনি যদি Airdrop-এর সমস্ত শর্তাবলী সঠিকভাবে অনুসরণ করেন, তাহলে আপনি Airdrop-এ কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েন পাবেন, যেগুলো আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ ওয়ালেটে রাখতে পারবেন অথবা আপনি যদি এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েনগুলো ধরে রাখেন তাহলে সেগুলি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন , আপনি ভবিষ্যতে তাদের জন্য একটি ভাল মূল্য পাবেন.

 

#7 – NFT এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুন

 

এনএফটি হল এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন, বন্ধুরা, এনএফটি ডিজিটাল ফাইল যেমন ফটো, ভিডিও, জিআইএফ এবং অডিও ইত্যাদি ক্রয় বিক্রয়ে ব্যবহৃত হয়।

 

এনএফটি হল এক ধরনের কোডিং ফাইল, যা ব্লকচেইনে সংরক্ষিত থাকে, যদি আপনার কাছে একটি অনন্য ডিজিটাল ফটো, ভিডিও, জিআইএফ বা অডিও ক্লিপ থাকে, তাহলে আপনি এটিকে NFT হিসাবে লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে যেকোনো NFT শুধুমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কেনা হয়।

 

#8 – Crypto অ্যাপ উল্লেখ করে অর্থ উপার্জন করুন

 

আজকাল আপনি ইন্টারনেটে অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ অ্যাপ পাবেন, যা আপনাকে বিনামূল্যে অর্থ উপার্জনের সুযোগ দেওয়ার জন্য রেফ অ্যান্ড আর্ন প্রোগ্রাম প্রদান করে। আপনি যখন এই অ্যাপগুলিকে রেফার করেন এবং কেউ আপনার দ্বারা উল্লেখিত লিঙ্কের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাপে যোগ দেয়, তখন আপনি ₹100 থেকে ₹500 পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি পাবেন।

 

আপনি যদি একটি পয়সা বিনিয়োগ না করেই ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করার উপায় খুঁজছেন, তবে আমার মতে আপনার অবশ্যই একবার রেফার অ্যান্ড আর্ন প্রোগ্রামটি চেষ্টা করা উচিত, কারণ এইভাবে আপনি অর্থ ছাড়াও উপার্জন করতে পারবেন টাকা

 

#9 – HNT মাইনিং থেকে অর্থ উপার্জন করুন

 

এইচএনটি মাইনিং হল ক্রিপ্টো থেকে অর্থ উপার্জনের একটি নতুন উপায়, যাতে আপনাকে হিলিয়াম টোকেন উপার্জন করতে হবে, এর জন্য আপনি আপনার বাড়িতে 30 থেকে 35 হাজার টাকা মূল্যের একটি হিলিয়াম হটস্পট ডিভাইস ইনস্টল করতে পারেন, আপনার কাছে যত বেশি হিলিয়াম হটস্পট থাকবে, তত বেশি আপনি। আপনি এর মাধ্যমে আরও বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

 

এটি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জনের একটি খুব ভাল উপায়, কারণ এতে আপনি প্যাসিভ ইনকাম পান, তাও কোনো কঠোর পরিশ্রম ছাড়াই, আপনাকে আপনার বাড়িতে যতটা সম্ভব হিলিয়াম হটস্পট সেট ইনস্টল করতে হবে।

 

#10 – ডি-টিউবে ভিডিও আপলোড করে অর্থ উপার্জন করুন

 

আপনি যদি ভিডিও সামগ্রী তৈরি করেন, তবে আপনি এর মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন, কারণ ডি-টিউব এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি এবং আপলোড করতে পারেন।

 

আপনার ভিডিও যত বেশি ভিউ পাবে, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। এই প্ল্যাটফর্মে আপনি Steemit মুদ্রা পাবেন, যা আপনি ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারবেন।

 

#11 – Steemit ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জন করুন

 

আপনি যদি লেখার শৌখিন হন, তাহলে আপনি লিখেও ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন, হ্যাঁ বন্ধুরা, স্টিমিট ওয়েবসাইট এমন একটি ওয়েবসাইট। যেখানে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত নিবন্ধ লিখবেন।

 

সুতরাং আপনার নিবন্ধে যত বেশি খবর আসবে এবং যত বেশি মানুষ এটি পছন্দ করবে, তত বেশি Steem (স্টিম-এর ক্রিপ্টোকারেন্সি) আপনি আপনার ওয়ালেটে পাবেন, যা আপনি পরে স্টিম ডলারে রূপান্তর করে আপনার মুদ্রায় স্থানান্তর করতে পারবেন।

 

বর্তমানে, ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে অনেক কারেন্সি রয়েছে, কিন্তু কিছু খুব জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে, যেগুলির মধ্যে আমরা আপনাকে নীচের সেরা 10-এর তালিকা প্রদান করছি।

 

বিটকয়েন

ইথেরিয়াম

Dogecoin

বিএনবি

ট্রন

এক্সআরপি

ফ্লোকি

সল

SHIB

টিএলএম

 

যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় এবং বিক্রয়

 

Wazir X, Queen switch Kuber, ZabPay, coindcx, Binance ইত্যাদির মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য ভারতে অনেকগুলি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, আপনি এই প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে খুব সহজেই ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে এবং বিক্রি করতে পারেন।

 

আমার দৃষ্টিতে, WazirX হল ভারতের সবচেয়ে পছন্দের ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্ম, এটি ছাড়াও ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার জন্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, আপনি সেগুলিতেও ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে এবং বিক্রি করতে পারেন।

 

আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে কত আয় করতে পারেন?

 

এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে কতটা আয় করতে পারবেন, বন্ধুরা, আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন, তবে শুধুমাত্র যদি আপনি সঠিক ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্বাচন করেন।

 

বিপরীতে, আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে রাতারাতি বিলিয়নিয়ার হতে পারেন। আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে কতটা আয় করতে পারবেন তা নির্ভর করে আপনি কি পরিমাণ কারেন্সি কিনেছেন তার উপর, আপনি যদি একটি ভালো কারেন্সি সিলেক্ট করেন, তাহলে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সির সাহায্যে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

 

উপসংহার

 

আজকের নিবন্ধে, আমরা আপনাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি কী এবং কীভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করা যায় সে সম্পর্কে সমস্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়েছি।

 

আমি আশা করি আপনি এই তথ্যটি খুব পছন্দ করেছেন, যদি তাই হয় তবে আপনাকে অবশ্যই এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে হবে যাতে তারাও ক্রিপ্টো কারেন্সি সম্পর্কে তথ্য পেতে পারে এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারে।

 

এ ছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন আপনার মনে থাকলে কমেন্ট করে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

 

কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে অর্থ উপার্জন করা যায় (FAQ)

 

মানুষের মনে প্রায়ই ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন থাকে, আসুন এখন সেগুলি জানি।

 

কিভাবে বিটকয়েন থেকে টাকা আয় করা যায়

 

বিটকয়েন থেকে অর্থ উপার্জন করতে, আপনি এটিতে ব্যবসা করতে পারেন, এটি ছাড়াও আপনি বিটকয়েন মাইনিং করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

 

কিভাবে বিনামূল্যে বিটকয়েন আয় করবেন?

 

ঠিক আছে, বন্ধুরা, আজকের সময়ে আপনি বিনামূল্যে বিটকয়েন পেতে যাচ্ছেন না, কিন্তু তবুও আপনি কয়েন সুইচ কুবের, বিনান্স, ওয়াজিরক্স, কয়েনডিসিএক্সের মতো ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে যোগ দিয়ে এবং সেগুলি উল্লেখ করে বিনামূল্যে বিটকয়েন উপার্জন করতে পারেন।

 

ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করা কি নিরাপদ?

 

ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ কারণ এর দামগুলি অস্থির, মুহূর্ত থেকে মুহুর্তে বাড়তে থাকে। আপনার যদি ক্রিপ্টো সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকে তবে শুধুমাত্র এটিতে বিনিয়োগ করুন।

 

কেউ কি ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করে ধনী হতে পারে?

 

হ্যাঁ! ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ আপনাকে ধনী করতে পারে, তবে এর জন্য আপনাকে সঠিক ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করতে হবে।

 

দাবিত্যাগ – বন্ধুরা, এই নিবন্ধে উল্লিখিত উপার্জন

 

এগুলি অনুমান করা হয়, আপনার উপার্জন এর চেয়ে কম বা বেশি হতে পারে, কারণ এই উপার্জন আপনার কঠোর পরিশ্রম, সময়, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। অতএব, আপনাকে এই বিষয়ে আপনার নিজের গবেষণা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং সম্পূর্ণরূপে এই তথ্যের উপর নির্ভর করবেন না।