মালদা: প্রতি শনি ও রবিবার ভূমি রাজস্ব দফতরের আলো নিভে যায় এবং গ্রামবাসীরা রঙিন প্রতিযোগিতা দেখেন।
মালদা: বাড়ির বাতি নিভিয়ে দেন প্রহরী। . প্রতি সপ্তাহে শনিবার থেকে রবিবার অফিসে বাতি জ্বালান। আর অন্ধকার হলেই নৈশ প্রহরীর সাহায্যে অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন বিবাহিত দম্পতি।
মালদা: রাজ্যে চলছে মধুচক্র রাতের উৎসব। মালদা হরিশ্চন্দ্রপুর ভূমি সংস্কার অফিস, একজন নৈশ প্রহরী দ্বারা পরিচালিত, চক্র মধু অধিবেশন, দুষ্টুমি এবং মদ্যপ বিরিয়ানি পরিচালনা করে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রামবাসী নৈশ প্রহরীসহ ২ যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। হরিশ চন্দ্রপুরে সমস্যা ছড়িয়ে পড়েছে। হরিশ চন্দ্রপুর, ভূমি সংস্কার বিভাগ নং 1 মালধর, গ্রামবাসীরা মৌমাছির সভা করছে।
ওই অফিসে নৈশ প্রহরীর সজাগ দৃষ্টিতে মৌমাছির ঝাঁক অফিসে থাকে অনেকক্ষণ। অফিস কক্ষে নোংরা কাজ আর বিরিয়ানি মদের ফোয়ারা। গ্রামবাসী জানায়, হরিশ্চন্দ্রপুর ভূমি সংস্কার অফিস ১টি গ্রামের এক প্রান্তে একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থিত। শনিবার থেকে রবিবার। আর অন্ধকারে রাতের প্রহরীর সহায়তায় অফিসে ঢুকে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। আর খারাপ কাজ চলতেই থাকে।
গ্রামের লোকজনের ভাষ্যমতে, রোববার সন্ধ্যায় যথারীতি অফিসের সামনের বাতি হঠাৎ নিভে যায়। এরপর গ্রামের কয়েকজন ছেলে এক যুবক ও এক মহিলাকে নৈশ প্রহরীর সাহায্যে অফিসে ঢুকতে দেখে। তখন গ্রামবাসীরা সেখানে ছুটে এসে তাদের ভয়ানক অবস্থায় দেখে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল বাহিনী এলাকায় ছুটে যায়।
গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত নৈশ প্রহরীর নাম বিশু ম্যান্ডেল, আর একজন যুবক বাবেল ম্যান্ডেল। তাদের দুজনের বাড়ি দক্ষিণ রামপুর এলাকায়। তাদের একটি স্ত্রী ছিল। স্থানীয় প্রশাসনের এই কর্মকান্ডে খুবই ক্ষুব্ধ। ভূমি সংস্কার আধিকারিক দেবরাজ মুখোপাধাই জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।